সারা বিশ্বে মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের ছোবলে দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসে গেল তিন মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ হাজারের বেশি। সবশেষ তথ্যমতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতি মিনিটে ১০ জন করে মারা যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্বে মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৩৩ জন।
এর তিন ঘণ্টা পরেই রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার ৬৭৩ জনে। মাত্র সোয়া তিন ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যায় ১ হাজার ৬৪০ জন। যা হিসেব করলে প্রতি মিনিটেই দাঁড়ায় ১০ জন।
তবে তথ্য অনুযায়ী এমনিতে প্রতি মিনিটে বিশ্বে মৃত্যু হয় ১০৫ জন মানুষের, আর জন্ম হয় ২৫০টি শিশুর। বিশ্বের ২০১টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৯ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫৯ জন।
আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। তবে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে।
এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৯ জনের শরীরে। সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪২৪ জন। ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন।
সেখানে মারা গেছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। ইতালির পরে অবস্থান স্পেনের। সেখানে আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৪১৭ জন। মারা গেছেন ৮ হাজার ২৬৯ জন।
এছাড়া জার্মানিতে ৬৮ হাজার ১৮০ জন, ফ্রান্সে ৪৪ হাজার ৫৫০ জন এবং যুক্তরাজ্যে ২৫ হাজার ১৫০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তে সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৯৮ জনের।
চীনে ছড়ানো ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫১৮ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩০৫ জন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৫১ জনের শরীরে।
মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭ জন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
দেশটি করোনায় মারা গেছেন ৩৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও দেশের মধ্যে সর্বাধিক মহারাষ্ট্রে। কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জনে।